Quantcast
Channel: Eisamay
Viewing all articles
Browse latest Browse all 222

পাগলীকে ঘরে ফেরালে বোনকে বিয়ে করবে কে

$
0
0

ইন্দ্রনীল শুক্লা

পাগলীকে ঘরে ফেরালে বোনকে বিয়ে করবে কে
নাটক: গভীর অসুখ
রচনা: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য
নির্দেশনা: সীমা মুখোপাধ্যায়
দল: শিল্পীসংঘ
অভিনয়: সৌমিতা, স্নেহাশিস, শঙ্কর, অনন্য, সুরজিৎ, অরুন্ধতী, স্মৃতি

আপাতভাবে মানসিক হাসপাতালের এক রোগীর কাহিনি। কিন্তু সেটুকু শুনে চোখ-কান বন্ধ করে ফেললে চলবে না। যাঁরা মানসিক অসুস্থতার শ্রুশ্রূষা করতে এখানে আসেন তাঁরা সুস্থ হওয়ার পর তাঁদের পরিণতি কি? পরিবার কি তাঁদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে নেন। নাকি ভাবেন এ 'আপদ' ঘরে না ফিরলেই ভালো। এমন একটা সম্পূর্ণ অন্য রকম বিষয় উঠে এসেছে 'গভীর অসুখ' নাটকে। খুব সাধারণ জায়গা থেকে শুরু হয়ে ক্রমে একটা থ্রিলারের চেহারা নেয়।

ডঃ সত্যব্রত চক্রবর্তী একটি মানসিক হাসপাতালের চিকিৎসক। আন্তরিক চিকিৎসা করেন। সেজন্যই হাসপাতালের বিভিন্ন সহকর্মী , কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাঁর বিরোধ লেগেই থাকে। সেখানকার এক রোগিণী ক্রমশ সুস্থ হয়ে ওঠে। বাড়ি যেতে চায়। কিন্তু কেউ তাকে নিতে আসে না। সে ডাক্তারবাবুর কাছে এসে জানতে চায় তার বাড়ি থেকে চিঠি এসেছে কি না। ডাক্তার নিজেও একবার তার বাড়িতে চিঠি পাঠান। কিন্তু উত্তর আসে না। বরং মানসীর বাড়ি থেকে এমপি-র কাছে চিঠি যায় যে হাসপাতাল থেকে তাদের নানাভাবে বিপর্যস্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এমন যদি বন্ধ না হয় তাহলে হাসপাতালের ডিরেক্টর ডঃ ভোঁসলে এবং সত্যব্রতর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে, প্রয়োজনে তাঁদের সাসপেন্ডও করা হতে পারে।

এখান থেকেই নাটক পলিটিক্যাল মোড় নিয়ে নেয়। ডঃ ভোঁসলে সত্যব্রতকে জানান যে মানসীর বাড়িতে আর চিঠি পাঠআনোর দরকার নেই। কারণ তাহলে তাঁর চাকরি বিপন্ন হবে এবং এমপি রুষ্ট হলে হা,পাতালের জন্য যে গ্রান্টের ব্যবস্থা তিনি করেছেন তা আর পাওয়া যাবে না। সত্যব্রত ভেঙে পড়েন।

সামাজিক সমস্যাটা দেখা যাক। মেয়েটি হাসপাতাল থেকে পালিয়ে তার বাড়ি পৌঁছে যায়। কিন্তু মেয়েটির বাবা তাকে আবার ফিরিয়ে নিয়ে যান হাসপাতালে, কারণ পাগল মেয়ের ভার তাঁর পক্ষে নেওয়া সম্ভব নয়। সত্যব্রত মানসীর বাবাকে বোঝান। কিন্তু মানসীর বাবা স্পষ্টই জানান যে বংশে পাগল আছে জানলে তাঁর অন্য দুটি মেয়েক কেউ বিয়ে করবে না, তাছাড়া আজীবন একটি অস্বাভাবিক মেয়ের ভার বহন করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। শেষটায় মানসীর কি হল তা নাটকে দেখাই ভালো।

দারুন কোনও সেটের বাহুল্য নেই। আলোর ব্যবহারও আলাদা করে চোখ টানবে না। একা কারও অভিনয়ও মনোযোগ সরিয়ে নেবে না। কিন্তু গোটা বিষয়টা সামগ্রিকভাবে সমাজের অন্ধকার অংশটার উপর আলো ফেলবে। সমস্যাটা বড়ই ভয়ানক!


Viewing all articles
Browse latest Browse all 222

Trending Articles